সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
পথ নিয়ে গঠিত হলো ২২ সদস্য বিশিষ্ট গ্রাম সংরক্ষণ দল (ভিসিজি) এর ২টি পৃথক সমন্বয় কমিটি, যার একটি কক্সবাজার ভিসজি সমন্বয় কমিটি এবং অন্যটি টেকনাফ ভিসিজি সমন্বয় কমিটি।
বাংলাদেশ সরকার অধিক হারে পরিবেশ এর ভারসাম্য বিনষ্টকারী ১৩টি অঞ্চলকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা(ইসিএ) ষোষনা করেছে। এর মধ্যে কক্সবাজার জেলায় সোনাদিয়া দ্বীপ, কক্সবাজার-টেকনাফ পেনিনসুলা ও সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ ৩ টি ইসিএ এলাকা বিদ্যমান। এই তিনটি ইসিএ এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় ৪৬টি গ্রাম সংরক্ষণ দল (ভিসিজি) গঠন করা হয়েছে যার সাথে ২৫০০টি পরিবার সম্পৃক্ত।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পাশাপাশি এ সমস্ত ভিসিজির সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিকল্প জীবিকায়ন, পরিবেশ-প্রতিবেশ সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণি (সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, ডলফিন, হাঙ্গর, কাঁকড়া, শামুক-ঝিণুক, অমেরুদন্ডী প্রাণি ইত্যাদি) সংরক্ষণ এবং প্যারাবন ও বালিয়াড়ি সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করছে নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট(নেকম)।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অদিপ্তরের পরিচালক ফরিদ আহমেদ।
তিনি বলেন, পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় ভিসিজি ও নেকমের ভূমিকা অনন্য। তিনি সকল ভিসিজি’র কর্মকান্ড ও পরিবেশ রক্ষার নিরলস ভুমিকার জন্য স্পেশাল ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরো বলেন, আপনারা সকল প্রকার তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন অপনাদের পাশে পরিবেশ অধিদপ্তর সর্বদা থাকবে। তিনি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কমিটির নাম একে এক ঘোষণা করেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুল আমিন, নেকম-ইকো লাইফ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. শফিকুর রহমান।
সঞ্চালনায় ছিলেন প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন ম্যানেজার মোঃ আব্দুর কাইয়ুম।
নেকম-ইকো লাইফ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক
ড. শফিকুর রহমান বলেন, এই ৪৬টি ভিসিজিকে শক্তিশালী ও সংঘবদ্ধ করতে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, একটি ভিসিজির সমন্বয় কমিটিই পারে সকল ভিসিজির সাথে সম্পর্ক তেরি এবং তাদের সকল সমস্যা সমাধান করতে। তিনি সকলকে গণতান্ত্রিক পক্রিয়ার একটি নির্বাহী কমিট গঠন করতে বলেন।
ভিসিজির সমন্বয় কমিটির কার্যপরিধি ও নির্বাহী সদস্যদের দায়িক্ত ও কর্তব্য নিয়ে আলোচনা করেন নেকম-ইকো লাইফ প্রকল্পের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং গভার্ণেন্স ও প্রাইভেট সেক্টর ম্যানেজার আফরোজা খাতুন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুল আমিন বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে ৪৬টি ভিসিজির ২৫০০ পরিবার যদি সহযোগিতা করে তবে ইসিএ এলাকার সমস্যা আমরা দ্রুত সমাধান করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, ইসিএ এলাকায় যে সমস্ত কর্মকান্ড নিষিদ্ধ রয়েছে তা বাস্তবায়নে ভিসিজির সমন্বয়ের বিকল্প নেই। এ জন্য নিজেদের মধ্যে সকল মতো বিরোধ দূর করতে হবে, সদস্যদের সকল ঋণ পরিশোধ করতে হবে এবং সকল প্রকার তথ্য উপাদ্য নিয়ে সহযোগিতা করতে হবে পরিবেশ অধিদপ্তরকে।
কক্সবাজার-সোনাদিয়া ভিসিজি সমন্বয় কমিটির নব নির্বাচিত সভাপতি এখতিয়ার, সহ-সভাপতি-১ মোঃ নুরুল আমিন, সহ-সভাপতি-২ রাজিয়া সুলতানা, সদস্য সচিব মোঃ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষফাতেমা বেগম, প্রচার সম্পাদক মোঃ শফিউল আলম। নির্বাচিত সদস্যদের শপদবাক্য পাঠ করান মোঃ আব্দুল কাইয়ুম।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।